নিউস বেঙ্গল 365, আগরতলা ডেস্ক: ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান কোভিড-19 পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এবং আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় মিলিত হন ত্রিপুরা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন তিনি বলেন যে,করোনা সঙ্কট পরিস্থিতিতে বর্তমান সময়টা ত্রিপুরার জন্য সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ। ত্রিপুরাবাসী প্রথম লকডাউন এর সময় যেভাবে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলেছেন সেগুলো আবার কঠোরভাবে পালন করার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি জানান,7 দিনের লকডাউন এর সময়ে সারা রাজ্যজুড়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে প্রায় সাড়ে 9 লক্ষ পরিবারের কাছে 12 হাজার কর্মী গিয়েছেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টিজেন টেস্ট ইত্যাদি কাজ তারা করেছেন। এতে ত্রিপুরা সরকারের কাছে সারা রাজ্যের একটা ধারণা উঠে এসেছে। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করা গেছে যে, আগরতলা পুরনিগম এলাকায় 9টি ওয়ার্ড জুড়ে বিরাট সংখ্যক লোকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সারা রাজ্যে যেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা 3.86% সেখানে আগরতলা শহরে 21% এসে দাঁড়িয়েছে। যা অত্যন্ত চিন্তাজনক বলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বিস্তৃত উদাহরণ টেনে বলেন, আগরতলা লেক চৌমুহনি বাজার থেকে 45টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, এতে দেখা যায় 26 জন লোক করোনা ভাইরাসে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত। অপরদিকে আগরতলা শহরের যে 9টি ওয়ার্ড এলাকা মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে 4,5,6,12,20,26,32,40 এবং 46 নম্বর ওয়ার্ড। তিনি আরো বলেন যে, ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাজারগুলিতে ভিড় দেখে মনে হচ্ছে যেন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এর পরিণতিতেই এই বিরাট সংখ্যক সংক্রমন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজ্য সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন বাজারগুলোকে সেনিটাইজ করা হবে একই সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ও সেনিটাইজ করা হবে। আগরতলা শহর এলাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান যারা গ্রুপ A, এবং গ্রুপ B স্তরের কর্মচারী তারা 100% অফিসে হাজির থাকবেন। আর যারা গ্রুপ C এবং গ্রুপ D সরকারি কর্মচারী তাদের উপস্থিতি থাকবে 50 %।।আর বাকী 50 % বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। এ সম্পর্কে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসককে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আরো বলেন যে, বর্তমান সময় ত্রিপুরার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হোম আইসোলেশনে থাকা আর্থিক দিক থেকে যারা অস্বচ্ছল তাদের পরিবারগুলোকে 1500 টাকা করে প্রদানের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের।করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারকে প্রথম কিস্তিতে 3 লক্ষ টাকা করে প্রদানের ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের। ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে সর্বমোট করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 10903 জন , সুস্থ হয়েছেন 7056 জন,এবং মৃত্যু হয়েছে এখনো পর্যন্ত রাজ্যে 94 জন।SHOW LESS