বাংলাদেশ মিশন শুরু, দোরাইস্বামীর তৎপরতায় বিচলিত চীন।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক :- বাংলাদেশ মিশন শুরু করেছেন নবনিযুক্ত হাইকমিশনার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন পায়ে হেটে। ঢাকায় এসে নিজের কার্যালয়ে যাবার আগে গিয়েছেন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এই সরকারের প্রতি ভারতের আস্থার কথা। রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিক পরিচয় হস্তান্তরের পরপরই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সুস্পষ্ট ভাবে ভারতের অভিপ্রায় জানিয়ে বলেছেন, সীমান্তে একটি হত্যা ও কাঙ্ক্ষিত নয়। বাণিজ্যিক বিমান পুনরায় চালুর সম্ভাবনার কথাও বলেছেন। ভারতের নতুন হাইকমিশনার প্রথমেই কিছু আশা এবং প্রত্যাশার জায়গা তৈরি করেছেন। ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরছেন। ভারত কি পাবে, কি পেলো না তার লিষ্ট তিনি এখন পকেটে রেখেছেন। প্রথমে তিনি ভারত নিয়ে বাংলাদেশের অস্বস্তির জায়গা গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কূটনীতির কৌশলকেই বেছে নিয়েছেন দোরাইস্বামী।
দোরাইস্বামীর এই তৎপরতায় কিছুটা বিচলিত চীন। চীন বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক পার্টনার। বাংলাদেশে বর্তমানে যে মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে, তার বেশির ভাগেই চীনের অংশগ্রহণ রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করে ভারতকে বিচলিত এবং বিভ্রান্ত করার কৌশলে ভালোই এগিয়ে গিয়েছিল চীন। এ জন্যই বঙ্গোপসাগর এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বর্তি অঞ্চলের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের আগ্রহ বেশি। এখন বাংলাদেশে যদি চীন প্রভাব বাড়ে, তাহলে সেই চাপ দ্বিগুন হবে। এ কারণেই বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠতায় ছেদ চায় না চীন। কিন্তু দোরাইস্বামীর প্রথম সপ্তাহের চমকে নড়ে-চড়ে বসেছে বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস। চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ছুটে গেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেনের কাছে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। এখনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় উদ্বেগও জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।চীনকে শর্তহীন ভাবে পাশে পেয়েই দুর্বিনীত হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সরকার। তাই ভারতকে ঠেকাতে এখন চীন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে দুই দেশের ভালোবাসার প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের জন্যই ভালো।